জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছি। এপ্রিলের পরে যেন না যায়। তবে ভোটের মাঠের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যদি তৈরি হয়ে যায় এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত থাকলে ডিসেম্বরে কেন, এর আগেও নির্বাচনে অংশ নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
গতকাল রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। জামায়াতের নিবন্ধন বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে অবস্থান জানাতে এই ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি ড. এ কে এম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা এবং কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার করতে হবে। এর মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই সনদ, সুষ্ঠু ভোটার তালিকা এবং প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়গুলো পরিষ্কার না করে ডিসেম্বরে, এপ্রিলে নির্বাচন হলেও কোনো লাভ হবে না। এ জন্য এ বিষয়গুলো পরিষ্কার হওয়া হচ্ছে বড় জিনিস, বড় চ্যালেঞ্জ। প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করার দাবি জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে তারা ছাড় দিতে নারাজ। প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। তারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দাবি জানিয়েছেন, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে তারা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের আধিপত্য বিস্তারে প্রভাব খাটাতে দেব না। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার। কিন্তু আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আধিপত্য বিস্তারে চেষ্টা করলে আমরা বরদাস্ত করব না। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, দেশের বিচারব্যবস্থা, জামায়াতের নিবন্ধন, দলীয় প্রতীকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন জামায়াত আমির।