আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী, খুনি ও ফ্যাসিস্ট দল উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেছেন, জাতিসংঘের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী লীগ ২ হাজার মানুষ খুন ও ৩০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছে। ফলে ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ ধ্বংসকারী শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় সরকার চাইলে দলটি নিষিদ্ধ করতে পারে। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদের খুনিদের বিচার করার জন্য নতুন আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে সরকার। সেই আইনে খুনিদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে। গতকাল সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা শহরের নতুন বাজার এলাকায় বণিক সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শৈলকুপা বণিক সমিতির সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ চেম্বারের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, শৈলকুপা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ঝিনাইদহ জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক ড. ওয়ালিদ হাসান পিকুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ বিশ্বাস, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন বাবর ফিরোজ, পৌর বিএনপির সভাপতি আবু তালেব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডু, বণিক সমিতির জাহিদুল ইসলাম, প্রভাষক হারুনুর রশিদ হেলাল ও সাইদুজ্জামান সাঈদ। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে ৭০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। এ ছাড়া সাড়ে ৪ হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি ৬০ লাখ মানুষের নামে গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এ যখন অবস্থা তখন সবকিছুই মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে গণ্য হবে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেই ইনশাল্লাহ।
রাষ্ট্র্রের এই প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যতই ষড়যন্ত্র করুক, আস্ফালন দেখাক দেশের সংবিধান ও আইনের হাত অনেক লম্বা। তাদের বিচার করার জন্যই এখনো জনতা রাজপথে আছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে গুম, হত্যা ও খুনের বিচার হবে। জুলাই বিপ্লবকে স্মরণ করে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার করা না গেলে শহীদ মুগ্ধ, ওয়াসিম ও শিশু আনাসের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। জুলাই বিপ্লবে শহীদদের হত্যাকারীদের বিচারের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে সরকার। সেই আইনে খুনিদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।