দল যখন অনুশীলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন সবাইকে রেখে একাকী উইকেট দেখেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। কখনো উপুড় হয়ে, কখনো এক ঠায় দাঁড়িয়ে বুঝতে চেষ্টা করছিলেন উইকেট কেমন আচরণ করবে। উইকেট যখন দেখছিলেন, তখন কি টাইগার অধিনায়কের মনে হয়েছিল প্রথম ওয়ানডের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কথা? প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে আড়াই শ রানের (২৪৪) নিচে আটকে রেখেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে হেরে যায় ৭৭ রানে। শ্রীলঙ্কান স্পিনে টাইগার ব্যাটিং লাইনে এতটাই ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল, যা একটি রেকর্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে এমন ব্যাটিং প্রথম দেখল মিরাজ বাহিনী। মাত্র ২৭ বলের মধ্যে ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় টাইগার ব্যাটিং। সিরিজে সমতা আনার ম্যাচ আজ। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম বলেন, ‘বাজে ব্যাটিংয়ে আগের ম্যাচ হেরেছি। তিন ম্যাচের এখনো দুটি বাকি। দ্বিতীয় ম্যাচে কামব্যাক করতে চেষ্টা করব। যদি পারি তাহলে সিরিজে ফেরা সম্ভব।’ বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় খেলা শুরু হবে কলম্বোর রানা প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। টি স্পোর্টস সরাসরি দেখাবে।
ম্যাচটি শুধু দলগতভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর নয়, অধিনায়ক মিরাজেরও বোলিং ছন্দে ফেরার। রানে ফেরার ম্যাচ লিটন দাসেরও। একটি বড় জুটি গড়ারও ম্যাচ। অধিনায়ক মিরাজের নেতৃত্বে নতুন যুগে পা রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে তাঁর এক বছরের নেতৃত্ব শুরু হয়েছে। দলের নেতা হলেও বোলিং ব্যর্থতার খোলস থেকে বেরোতে পারেননি তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিবদের দুরন্ত পারফরম্যান্স যেখানে জ্বলজ্বল করছে, অভিষিক্ত তানভির ইসলামও যখন উজ্জ্বল, তখন অধিনায়ক মিরাজ বল হাতে নিষ্প্রভ। ১০ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেও উইকেট পাননি। শুধু সিরিজের প্রথমটিতে নয়, সব মিলিয়ে ১০৬ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে টানা পঞ্চম ওয়ানডেতে কোনো উইকেট পাননি। সর্বশেষ উইকেট পেয়েছিলেন গত বছরের ৮ ডিসেম্বর, বেসেটেরেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ম্যাচটিতে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। তানজিম নিয়েছিলেন ৩টি। গত ম্যাচে উল্লেখ করার মতো জুটি দুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১.৫ ওভারে ৭১ রান যোগ করেছিলেন তানজিদ তামিম ও নাজমুল এবং দশম উইকেট জুটিতে ৭.১ ওভারে ৪২ রান যোগ করেছিলেন জাকের আলি অনীক ও মুস্তাফিজুর রহমান। রানে নেই লিটন দাস। তাঁরও প্রমাণ করার ম্যাচ এটি।