চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন পথচারী নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বারইয়ারহাট পৌর বাজারে এ সংঘর্ষ হয়েছে। নিহত জাবেদ চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার বাংলাবাজারের নীলগিরি আবাসিক এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে। তিনি আরএফএল গ্রুপের বিক্রয়কর্মী বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন- সুমন (৩৫), ফজলুল করিম (৪৩), জাহেদুল ইসলাম (৪২), শহিদুল ইসলাম (৫১), ওমর ফারুক (৩৫), দিদার (৩৭), আবু সুফিয়ান (৪০), ফাহিম (২২), এরশাদ (৪০), গোলাম মোর্শেদ (৪০), রাশেদ (৫০), দিদারুল আলম চৌধুরী (৪০) ও ইলিয়াস (৫০)। গুরুতর আহত সুমন, গোলাম মোর্শেদ, ইলিয়াস হোসেন ও রাশেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা শাখা ও বারইয়ারহাট পৌরসভা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র করে দুই দিন ধরে বিএনপির দুই পক্ষে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে স্বাধীনতা দিবসে উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
দেয়। পরিস্থিতি থমথমে হওয়ায় উপজেলা পরিষদ চত্বর ও তার আশপাশের ৫০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। কিন্তু ১৪৪ ধারা অমান্য করেই কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে নামেন বিএনপির এক পক্ষের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে বারইয়ারহাট পৌর বাজারে দুই পক্ষে মুখোমুখি হলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বর ও আশপাশের ৫০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বিএনপির এক পক্ষের নেতা-কর্মীরা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করেছে। মিছিলের ভিডিওফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বারইয়ারহাট পৌরবাজারে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মো. জাবেদ নামে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮-১০ জন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।