প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের অর্থনীতির অবস্থা খুবই ভঙ্গুর, গাজার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। এজন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পুনর্বিবেচনা করতে পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পুনর্বিবেচনার জন্য একটি কমিটি হয়েছে। এখন আমরা পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারি। আবেদনের সঙ্গে যথাযথ কারণ ও কী করব সে বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে। একটা বিশ্বাসযোগ্য রোডম্যাপ দিতে হবে। আমরা সে দিকেই যাব, সেটার কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী। আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এখন ক্রাইসিস সময় চলছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, দেশে গাজার মতো অবস্থা চলছে। সব খাতেই দুর্নীতি হয়েছে। এ ধরনের দুর্নীতি ও ভঙ্গুর অবস্থা আমরা এর আগে কোনো দেশে দেখিনি। আমাদের জিডিপির গ্রোথে প্রভাব না পড়লেও অন্যান্য খাতে ভঙ্গুর অবস্থা। দেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আপনারা কী কাজ করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি একটা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে চাই, সেটা হলো ভুয়া ডাটা বা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা যে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ (এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন) যেতে চাচ্ছি।
সে বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক নির্ভরতা বেড়ে গেছে। এটা হয়েছে ২০১০ সাল থেকে।
আমাদের যে পরবর্তী বাজেট আসবে তার রিসোর্স কোথায়? আমাকে যদি আরও ঋণ নিতে হয়, তাহলে আরও চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। এ রিসোর্স মোবিলাইজ করা খুব সহজ না। তবে আমাদের উন্নতির মধ্যে শুধু আমাদের প্রত্যেকের আয় বেড়েছে। আমরা মধ্যম আয়ে চলে গেছি। সে অনুযায়ী আমাদের রাজস্ব বাড়ার কথা ছিল, কিন্তু সেগুলো গেল কোথায়। তাই মানুষকে ট্যাক্স দিতে উৎসাহিত করতে হবে।
বাংলাদেশ চাইলেই কি এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন স্থগিত করতে পারবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের হাতে পুরোপুরি নেই, তবে আমাদের অধিকার আছে আমরা পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারি। আবেদনের সঙ্গে যথাযথ কারণ ও কী করব সে বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে।
অনেক দিন ধরে দেখছি বাংলাদেশে কোনো বিনিয়োগ নেই, কর্মসংস্থান নেই এবং অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে কি গাজায় কেউ বিনিয়োগ করবে। মূলত রাজনীতির সঙ্গে অর্থনীতির সম্পর্ক আছে। আমরা রাজনীতির চিন্তা করতে গিয়ে অর্থনীতির চিন্তা করিনি।