গাজীপুরের টঙ্গীতে নিজ কক্ষ থেকে প্রতিবন্ধীর হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সাড়ে বারটায় টঙ্গীর গাজীবাড়ি পুকুরপার এলাকায় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে এর আগে সকাল নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আবুল হোসেন নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত রাবেয়া সাবরিন লিখন আক্তার(৩২) পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার মাটিভাঙ্গা গ্রামের সেলিম হাুলাদারের মেয়ে। লিখন টঙ্গীর গাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার জনৈক গোলাম মোস্তফার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফাকে(৪৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, লিখন একজন বাকপ্রতিবন্ধী। তিনি টঙ্গীর নতুন বাজার এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের চাকরি করতেন। প্রায় এক বছর আগে তৃতীয়তলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন লিখন। সঙ্গে ও তার মা রাজিয়া বেগম থাকতেন। সোমবার সকালে লিখন বাসায় একাই ছিলেন। সকাল নয়টার দিকে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ার ঐ কক্ষের দরজা বাহির থেকে আটকানো দেখতে পান।পরে ওই কক্ষের দরজা খুলে বিছানার উপর ওড়না ও গামছা দিয়ে লিখনের হাত-পাঁ বাধা নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর পাঠায়।খবর পেয়ে পুলিশ লিখনের লাশটি উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের (মৈত্রী শিল্প) ম্যানেজার মহসিন আলী বলেন,লিখন মৈত্রী শিল্পে একজন কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরী করতেন।সে তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারী ছিলেন। এলাকাবাসী বলছেন, ওই নারীকে কে বা কারা ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, তার হাত-পা ও মুখ বাধা ছিল। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শ্বাসরোধ তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম