ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ খবর দিয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাগবিতন্ডার পর এ সিদ্ধান্ত নিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গতকাল পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং বিবিসি। বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে বলে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আমাদের সাহায্য বিরতি দিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এ সাহায্য (সংঘাতের) সমাধানে অবদান রাখতে পারে।’
তিন বছর আগে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে অতি সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত ইউক্রেনে অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিতর্কিত একটি মন্তব্যের সমালোচনাও করেন। জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি ‘খুব, খুব দূরে।’
পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর বাগবিতন্ডার পর ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে সোমবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) স্পষ্ট করেছেন যে তিনি শান্তির দিকে মনোনিবেশ করেছেন। আমাদের অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। আমরা আমাদের সহায়তাকে থামিয়ে দিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এটি (সংঘাতের) সমাধানে অবদান রাখে।’
এদিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপরই তিনি ইউক্রেন এবং রাশিয়ার বিষয়ে মার্কিন নীতি বাতিল করে মস্কোর প্রতি আরও সমঝোতামূলক অবস্থান গ্রহণ করেন।