‘সংশপ্তক’ নাটকে হুরমতি চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দেশজুড়ে ‘হুরমতি বু’ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন বরেণ্য অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার। এ নাটকে ফুটে উঠেছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিতা, জেদি, বিদ্রোহিনী, পাল্টা প্রতিশোধপরায়ণ হুরমতির জীবনছবি। হুরমতি চরিত্রটিতে ফ্রয়েডীয় সমাজ ও জীবনবোধ, তৎকালীন সামন্ত জমিদারতন্ত্রের নিষ্ঠুর অমানবিক জাঁতাকলে পিষ্ট অসহায় নারী নিগ্রহ, পৈশাচিক বর্বর, যুগলাঞ্ছিত নারী স্বাধিকার, বিদ্রোহ তথা ব্যক্তিত্বের সুর প্রজ্বলিত, প্রতিধ্বনিত। সর্বোপরি হুরমতি চরিত্রটিকে বলা যায় খাপখোলা তলোয়ার। এতদিন পর সংশপ্তকে অভিনয়ের স্মৃতি বলতে গিয়ে কিংবদন্তি অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, ‘দর্শকের কথা আর কী বলব, হুরমতিকে নিয়ে তাদের যে কৌতূহল দেখেছি, তা বলে বোঝানো যাবে না। মনে আছে, তখন আমরা থাকতাম মগবাজার দিলু রোডে। সেখান থেকে আমরা যেতাম শান্তিনগরে কাঁচা বাজার করতে। বাজারের সব দোকানদার আমাকে ডেকে বলত, ‘হুরমতি বু এদিক আসেন, ভালো মাছ আছে, ভালো সবজি আছে’- এসব বলে দোকানিরা সবাই ডাকাডাকি শুরু করে দিত। যখন শিক্ষকতা করতাম, তখন ছোট্ট একটি ছেলে প্রায়ই আমার কাছে এসে কপালে উঁকি দিয়ে দেখত, এরপর দৌড়ে পালিয়ে যেত। ঘটনা কি জানার জন্য তার মাকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কপালে গরম কয়েন দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার দাগটি আছে কি না সেটি দেখতে সে বারবার আমার কপালের দিকে উঁকি দেয়। এ কথা শুনে ছেলেটিকে কোলে নিয়ে ভালো করে দেখিয়ে দিয়েছিলাম আমার কপালে পোড়া কোনো দাগ নেই। এমন আরও অনেক ঘটনা আছে, সেসব ঘটনা যখন মনের পর্দায় ভেসে ওঠে, তখন মনে হয় হুরমতি আজও বেঁচে আছে। তাহলে এত নাটক করে কী লাভ হলো। অভিনয়জীবনে তাহলে এই একটি নাটকই যথেষ্ট ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংশপ্তকে ফরীদির (হুমায়ুন ফরীদি) সঙ্গে আমার একটা দৃশ্য ছিল। আমার ঘরে ঢুকেছে রমজান (ফরীদি)। আমার দিকে তার লোলুপ দৃষ্টি। আমার পাশে এসে বসল। আমি সরে গেলাম। আবার এগোলো, আমি সরে গেলাম। তার চোখেমুখে লোভাতুর দৃষ্টি। এর মধ্যে পকেট থেকে রুমাল বের করে ঘাম মুছল ফরীদি। তার চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ভয়, আতঙ্ক আর লোলুপ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। বলতে পারেন এটা আমার কাছে একটা অবিস্মরণীয় দৃশ্য।’ এ কিংবদন্তি হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে আরও একটি স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ‘তখন নাটকটি তুমুল জনপ্রিয়। ওই সময় অন্য একটা নাটকের ভয়েস রেকর্ডিংয়ের জন্য আমি, হুমায়ুন ফরীদি ও সুবর্ণা মুস্তাফা বাংলাদেশ বেতারে যাচ্ছিলাম। গেটে যেতেই সিকিউরিটি গার্ডরা দূর থেকে ফরীদিকে দেখে বললেন, ওই যে কানকাটা রমজান যায়। এটা শুনে ফরীদি গেল ভয়ংকর রেগে। কঠিন ধমক দিল গার্ডদের। তারপর আমি গিয়ে ঠান্ডা করলাম। বোঝালাম। বললাম, এটাই একজন অভিনেতার আসল প্রাপ্তি ফরীদি। আসলে ফরীদি যেমন অসাধারণ অভিনেতা ছিল, তেমনি একটা ছোট্ট শিশুর মতো মনও ছিল ওর।’
শিরোনাম
- লক্ষ্মীপুরে গ্রাম পুলিশের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ
- জুলাই গণহত্যাকারীদের কেউই ছাড় পাবে না : চিফ প্রসিকিউটর
- মানিকগঞ্জে ময়লার ভাগাড় অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
- হাসিনার দুর্নীতির তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
- যুব দিবসে পুরস্কৃত হবেন ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
- আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কংগ্রেস নেতার
- চাঁদাবাজির ভিডিও ভাইরাল, এনসিপি নেতাকে শোকজ
- দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূতের বদলে বন্ধ করাই উত্তম : বিটিএমএ সভাপতি
- প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে ইউকেএম
- ভোলায় বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
- ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক
- কুষ্টিয়ার মিরপুরে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক ফিরোজ আহমেদ গুরুতর আহত
- সাইফ আলি খানের ছেলেদের রক্তে বইছে রবীন্দ্রনাথের গৌরব
- এডিলেডে বিজিপিএএ’র বার্ষিক সায়েন্টিফিক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত
- দিল্লিতে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক
- স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ
- নোয়াখালীতে শিশু হত্যার অভিযোগে সৎ মা কারাগারে
- একাদশে ভর্তি: বাড়লো প্রথম ধাপে আবেদনের সময়
- পুলিশ হেফাজতে জনি হত্যা: দুই পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল
আমার কপালে পোড়া কোনো দাগ নেই : ফেরদৌসী মজুমদার
পান্থ আফজাল
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর