শ্রোতাপ্রিয় অভিনেত্রী ও লাক্স তারকা নাজিয়া হক অর্ষা। দীর্ঘ সময় ধরে নাটক, চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজে নিজস্ব অভিনয়দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছেন। বেছে বেছে কাজ করেন বলে তাঁর কাজের সংখ্যা কম। এ তারকার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
নতুন নাটকে কাজ করেছেন?
এর মধ্যে একটি সিঙ্গেল নাটকের কাজ শেষ করেছি। নাম ‘ছেলেটা হাসে না কেন’। আমার সহশিল্পী ছিলেন মীর রাব্বি। আর ১৭-১৮ তারিখে একটি নতুন ধারাবাহিকের কাজ শুরু করব। এটি অনিক বিশ্বাসের পরিচালনায়। এ ছাড়াও দুটি গল্প এসেছে হাতে; মনে হয় করব না। কারণ আমি যে ধরনের গল্পে কাজ করি সেটি এ ধরনের না।
উৎসব উপলক্ষে কোনো কাজ শুরু করেছেন?
উৎসব উপলক্ষে তেমন করে কাজ করি না। এখন তো ইউটিউবের জন্য যে ধরনের কাজ হয়, সেগুলো আমার টাইপের না। যে টাইপের কাজ আমি করি সে ধরনের কাজ খুবই কম হয়।
ওটিটি-ফিল্মের কাজ...
দুই-একটা ওটিটির কাজ এসেছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেগুলো করা হয়নি। মাঝে একটি অনুদানের শর্টফিল্মের কাজ শেষ করেছি। এছাড়া অন্য কোনো ফিল্মের কাজ শুরু করিনি।
রমজানে কাজের পরিবেশ কেমন মনে হচ্ছে?
ঘুরেফিরে সেই একই চিত্র। পরিবর্তন নেই। নাটক, ওটিটি বা ফিল্মের একেকরকম অবস্থা। শুধু ইফতার করা হয়। আমাদের মোরালিটির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
জুলাই ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন। পট পরিবর্তনের পরের চিত্র নিয়ে অভিব্যক্তি কী?
আমি অনেক আগে থেকেই উপলব্ধি করেছিলাম এমন কিছু হবে। নতুন কিছু এলে সেই একইরকম চিত্র দেখতে পাব না, তা নয়। ভালো-মন্দ মিলিয়েই হবে। ইনসিকিউর হয়ে যাব, প্রটেকশন থাকবে না- তা কিন্তু জানতাম। অনেক কিছুই হচ্ছে। কারণ, জাতিগতভাবে আমরা ভালো না। তাই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমার অনুভূতি মিশ্র। তবে আমি ধৈর্য ধরতে চাই। সময় দিতে হবে ভালো কিছুর জন্য। তবে ঘন ঘন মব জাস্টিস পছন্দ না।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সংস্কারও তো থেমে গেল...
কী আর বলব। এ জায়গাটাও আমার জন্য কখনো পারফেক্ট ছিল না। ২০২০ সালের পর থেকে আমি অনিয়মিত এ সংগঠন থেকে। কেন জানেন? কারণ তাদের চেয়ারের খেলা, পোস্টের খেলা অন্যরকম ছিল। আর্টিস্টদের প্রবলেম হলে তারা নেই। আমার সঙ্গে অরণ্য আনোয়ার যখন ইনজাস্টিস করেছিল তখন তারা আমাকে একপেশে করে অরণ্যের পক্ষ নিয়েছিল। দোষ আমার না, তারপরও আমাকে বলেছিল সমঝোতা করতে। কী অদ্ভুত! আমি এ নিয়ে স্ট্যাটাস দিলে আমাকে সেটি ডিলিট করতে চাপ দেয়, কেন? অপরাধীর কোনো পানিশমেন্ট নেই। তো টাকা দিয়ে সংগঠন কন্টিনিউ করার কোনো মানে আছে? আমি তো মনে করি সংগঠন কোনো কাজের না। প্রতিবাদ করা যাবে না, কথা বলা যাবে না ন্যায়-অন্যায় নিয়ে, তাহলে কেন এটিতে যুক্ত থাকা? এরপর যখন সংগঠন রিফর্ম করার বিষয় এলো, ভাবলাম ভালো যদি কিছু হয়। কই, সেই একই চিত্র। সিনিয়ররা করাপটেডই থেকে গেল। অমানুষের মতো সবার আচরণ। শিল্পীসত্তার কোনো ভ্যালু নেই। সিনিয়র-জুনিয়র রেসপেক্ট নেই। আমাদের মতো শিল্পীর ভিশনের কোনো মূল্য তাদের কাছে নেই।