দেশে এখন অন্তত ২৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। এর একটা বড় অংশ এমন খাদের কিনারে যে সামান্য এদিকওদিক হলেই ছিটকে যেতে পারে দরিদ্র ব্যক্তিদের কাতারে। বস্তুত সামান্য আঘাত, অসুস্থতা, কর্মহীনতার সাময়িক সংকট মোকাবিলার সামর্থ্যও তাদের নেই। প্রধানত এর কারণ দুটি। দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি এবং কর্মসংস্থানের অভাব। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তাপুষ্ট এক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপ বলছে, তিন দশক ধরে দেশে দারিদ্র্য হ্রাসের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা চললেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সে ধারা উল্টো পথে হাঁটছে। করোনা মহামারির আগপর্যন্ত দারিদ্র্যের হার কমছিল। তিন বছরের মধ্যে চিত্রপট উল্টে গেছে। চলতি বছরের মধ্যভাগ নাগাদ দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশ। ২০২২-এ ছিল ১৮ দশমিক ৭। অর্থাৎ অল্প সময়ের মধ্যেই প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। প্রায় ১৮ শতাংশ পরিবার রয়েছে ঝুঁকির মুখে। আয়ের উৎসে সামান্য বিঘ্ন সৃষ্টি হলেই যারা প্রাত্যহিকতার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে না। সঞ্চয়ে হাত দিতে হয়। অথচ এই পরিবারগুলোর সঞ্চয় বলে কিছু আছে কিনা সন্দেহ। সামান্য ঘটনাদুর্ঘটনা মোকাবিলা করতেই তারা হিমশিম খায়। অসহায়ভাবে ভুগতে হয়। এ ছাড়া চরম দারিদ্র্যের হারও বাড়ছে। ২০২২-এ ছিল ৫ দশমিক ৬, পঁচিশে এসে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে। সংখ্যার হিসাবে আরও স্পষ্ট চিত্র উঠে আসে। বাইশের জনশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১৭ কোটি। পরিবার ৪ কোটি ১০ লাখ। সে হিসাবে অন্তত পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। জনসংখ্যা বাড়ায় প্রকৃত সংখ্যা এখন আরও বেশি হওয়াই তো স্বাভাবিক। ন্যূনতম খাদ্য, মানসম্মত বাসস্থান, জরুরি চিকিৎসা, উন্নত শিক্ষা এদের কাছে সুদূরপরাহত, অধরা। ক্যালরির হিসাব বিলাসিতার বাতুলতা। অথচ এ কাজগুলো দেশের অসংখ্য সংস্থা দেশিবিদেশি অর্থায়নে খুব নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, দেশের প্রবৃদ্ধি হলেও তার সুফল সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছেনি। উচ্চ আয়ের মানুষের আয় বাড়লেও নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বাড়েনি। বরং তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তারা নিচ থেকে আরও নিম্নগামী হয়েছে। কয়েক বছর ধরে লাগাতার খাদ্য, জ্বালানি নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির নিষ্পেষণে তারা গলদঘর্ম। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এর সুরাহা-সমাধান হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, শ্রমঘন শিল্পগুলোকে গতিশীল রাখা এবং দেশেবিদেশে প্রচুর নতুন কর্মসংস্থানের সমাজে অর্থপ্রবাহ সৃষ্টি। জুলাই বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশে এসবই আশা করেছিল জনগণ।
শিরোনাম
- শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি চূড়ান্ত
- গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল, অভিযোগ কাতারের
- মোংলায় শ্যামা পূজা উপলক্ষে সনাতনীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়
- রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৬
- নারায়ণগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ
- নটিংহ্যাম ফরেস্টের নতুন কোচ শন ডাইচ, প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবেন পোর্তোর
- রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৭৯ মামলা
- মেহেরপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা সমাজের বোঝা নয়, গুরুত্বপূর্ণ অংশ’
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ
- ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)
- ৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
- অতিরিক্ত দুই জজের বাংলোতে দুঃসাহসিক চুরি, আটক ৪
- স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- আগস্টে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে ব্যয় বছর ব্যবধানে ১৯ শতাংশ বেড়েছে
- প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার
- ফের খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত
- মোংলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাব্বির, সম্পাদক শামীম
দারিদ্র্য ভয়ংকর
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সমাধান
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর