ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজারের পুরাতন বাঁশবাজারের লিজ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে শহরের আনন্দবাজার, টানবাজার, জগৎবাজার, সড়কবাজার, নিউমার্কেট, চাউলবাজার ও সবজিবাজারের ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আনন্দবাজার মাছ ও শুটকি মহলের সভাপতি মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুত্তাকিম, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসনাত ভজন, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ, টানবাজার ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সড়কবাজারের ব্যবসায়ী কমলালয় স্বত্বাধিকারী আশিষ পাল, সবজি ও চাল মহলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. কালামসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজারের পুরাতন বাঁশবাজারে প্রায় ২১ শতাংশ খাস জমি রয়েছে, যা শহরের যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের মালামাল লোড-আনলোডের কাজে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই জায়গা ছাড়া ব্যবসায়ীদের ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান বা পিকআপে আনা মালামাল লোড-আনলোডের অন্য কোনো বিকল্প স্থান নেই।
তারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০.৯৪ শতাংশ খাস জমি ৩৩ জন বহিরাগত ব্যক্তির নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বক্তারা জনস্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ লিজ বাতিলের দাবি জানান এবং তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা সমস্যার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, বেদখলে থাকা ভূমি উদ্ধার করে ট্রেড লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজের ভিত্তিতে ৩৩ জন ব্যক্তির নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনের নামে কেউ মব সৃষ্টি করলে তা সহ্য করা হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল