চাকরি ছেড়ে খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার নারী উদ্যোক্তা খুশি খাতুন। মাত্র ১২টি মুরগি বাচ্চা দিয়ে শুরু করলেও এখন তার খামারে উৎপাদন হয় বিভিন্ন জাতের কয়েক হাজার বাচ্চা। যা থেকে প্রতি মাসে আয় করছেন কয়েক লাখ টাকা। তার সফলতা দেখে তৈরি হচ্ছে নতুন উদ্যোক্তা।
বাড়ির সামনে একটি টিনের ঘর। সেখানে আলাদা আলাদা করে রাখা হয়েছে কয়েক জাতের মুরগির বাচ্চা। আর তা দেখভাল করছেন নারী উদ্যোক্তা খুশি খাতুন। কখনো খাবার দিচ্ছেন আবার কখনো মুরগিগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
গ্রাম থেকে ডিম সংগ্রহ করে তা ইনকিউবেটরের মাধ্যমে উৎপাদন করছেন বিভিন্ন জাতের বাচ্চা। যা বিক্রি করছেন দেশের বিভিন্ন জেলায়। আর তা থেকেই প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করছেন এই নারী উদ্যোক্তা। মাত্র ১২টি ব্রয়লার দিয়ে মুরগি পালন শুরু করলেও পরবর্তীতে মুরগি পালনের পাশাপাশি তিনি বাণিজ্যিকভাবে বাচ্চা উৎপাদন শুরু করেছেন। এখন প্রতি মাসে তিনি শুধুমাত্র বাচ্চাই বিক্রি করেন ৪ হাজার।
এছাড়াও তার খামারে টাইগার, দেশি, ব্রাহমা, ফাহমি, তিথীর, সোনালী, কালার, বার্ড, টার্কিসহ প্রায় ১২ জাতের মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের পাশাপাশি পালন করে থাকেন।
আত্মনির্ভরশীলতার জন্য কষ্টের বিকল্প নেই, সেটিই যেন প্রমাণ করেছেন এই উদ্যোক্তা। চাকরি ছেড়ে খামার করে নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছেন, তেমনি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এলাকার মানুষেরও। তাকে দেখে অনেকেই এখন আগ্রহী হচ্ছেন উদ্যোক্তা হতে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতিকুজ্জামান জানান, এই উদ্যোক্তাকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। পরিশ্রম করলে সফলতা আসে তার দৃষ্টান্ত উদাহরণ খুশি খাতুন। জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ সবসময় তার পাশে থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া