অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা আশা করছি শুল্কটা কিছুটা কমে আসবে। আমরা তো চেষ্টা করছি।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি শুল্ক কিছুটা কমে আসবে। আমরা তো চেষ্টা করছি। কারণ আমাদের মূল্যস্ফীতি তো কম, ৬.৫ বা ৭ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি করলে দাম বেশি পড়বে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দাম একটু বাড়বে, কিন্তু কিছু সুবিধা আছে। আমরা একটু ডাইভারসিফাই করছি।তাদের ইমপিউরিটি একটু কম। প্রোটিন কনটেন্ট একটু বেটার। আমাদের নেগোসিয়েশনের আমাদের কিছু আনতে হবে। এটা আমাদের জন্য সহায়ক হবে নেগোসিয়েশনের জন্য।
শুল্ক কার্যক্রমের জন্য আর আটদিন বাকি আছে। এর মধ্যে কি তারা আবার তৃতীয় দফার জন্য যেতে বলেছে? এ প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা যাবেন। তিনি টিম নিয়ে যাবেন। কিন্তু সেটি এখনো ফাইনাল না। আমি দেখলাম আপনারা গ্রাফিক্স করে, বারকোড দিয়ে দেখাচ্ছেন... কিন্তু এগুলো তো এখনো ইফেকটিভ হয়নি। উনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) ১ তারিখের আগেই যাবেন। এদিকে, আমি আমার চ্যানেলে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি।
ব্যবসায়ীরা এ ইস্যুতে লবিস্ট নিয়োগের কথা বলছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপদেষ্টা বলেন, এ পর্যায়ে লবিস্ট নিয়োগে আমি জানি না কতটুক কাজ করে। তারা লং টার্ম কাজ করে। কিন্তু এগুলো কুইক ডিসিশন হচ্ছে খুব ওপর লেভেলে। নেগোসিয়েশনে সময় যে ব্যবসায়ীরা বলে আমরা গেলে এটা হবে...। নোগোসিয়েশনের সময় টেবিলে তো ব্যবসায়ীরা অ্যাকসেস পাবে না। আমি নেগোশিয়েট করে এসেছি... আপনারা জানেন ওয়ার্ড ব্যাংক- এডিবিতে।
তিনি বলেন, ইউএসএর প্রাইভেট সেক্টর খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের গভীর যোগাযোগ রয়েছে। আমি ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, আমরা তো কথা বলেছি। কারণ আমাদের একটা ভালো ইমপ্রেশনস আছে। ইমেজ আছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ