তিন বছর ধরে চলমান আলোচনার পর যুক্তরাজ্য এবং ভারত একটি বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। যা ব্রিটিশ সংস্থাগুলির জন্য ভারতে হুইস্কি, গাড়ি এবং অন্যান্য পণ্য রপ্তানি আরও সহজ করবে। সেই সাথে ব্রিটেনে ভারতের পোশাক এবং পাদুকা রপ্তানির ওপর কর কমাবে।
এই চুক্তিতে অভিবাসন নীতিতে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি।
ব্রিটিশ বাণিজ্য মন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস বলেছেন, এই চুক্তি যুক্তরাজ্যের ব্যবসা এবং ভোক্তাদের বড় সুবিধা করে দেবে।
গত বছর যুক্তরাজ্য এবং ভারতের মধ্যে মোট ৪১ বিলিয়ন পাউন্ডের বাণিজ্য হয়েছে। ব্রিটিশ সরকারে দাবি, এই চুক্তির ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে বছরে অতিরিক্ত ২৫.৫ বিলিয়ন পাউন্ড বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
রেনল্ডস গত সপ্তাহে লন্ডনে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ পীযূষ গোয়েলের সাথে চুক্তি চূড়ান্ত করতে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
এটি কার্যকর হতে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যুক্তরাজ্যের গ্রাহকরা ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাসের সুবিধা পেতে পারেন বলে দেশটির ব্যবসা বিভাগ জানিয়েছে।
পোশাকের পাশাপাশি এতে কিছু ভারতীয় খাদ্যদ্রব্য, যেমন হিমায়িত চিংড়ি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ভারতে রপ্তানি সম্প্রসারণকারী ব্রিটিশ সংস্থাগুলির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুবিধার উপরও জোর দিয়েছে। জিন এবং হুইস্কির শুল্ক অর্ধেক করে ৭৫ শতাংশ করা হবে। পরবর্তী বছরগুলিতে তা আরও হ্রাস পাবে।
গাড়ি, মহাকাশ, বৈদ্যুতিক এবং কিছু যুক্তরাজ্যের খাদ্য পণ্যের ওপর শুল্কও হ্রাস পাবে।
ব্রিটিশ সরকার বলেছে, চুক্তিটি ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার পর যুক্তরাজ্যের স্বাক্ষরিত সবচেয়ে বড় এবং অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার এটিকে একটি যুগান্তকারী চুক্তি হিসাবে বর্ণনা করেছেন। যা প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করবে এবং ব্রিটিশ জনগণ এবং ব্যবসার জন্য সরবরাহ বাড়াবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চুক্তিটিকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল