দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে প্রকাশ্যে আসেন চিত্রনায়িকা পপি। তখন জানান, তিনি অনেক দিন আগেই বিয়ে করেছেন এবং একটি পুত্রসন্তানের জন্মও দিয়েছেন। আসলে পপির এই আড়াল ভাঙার কারণ ছিল জমিজমা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের জের। এরপর আবার পরিবারের সঙ্গে মামলা, পাল্টা মামলার খবর জানাতে কয়েক দফা সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন পপি। তখন তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বলেছিলেন, অভিনয়ে আর নিয়মিত না হলেও যে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় অসমাপ্ত রেখে তিনি আড়ালে গিয়েছিলেন সেগুলোর কাজ সময় ও সুযোগমতো শেষ করে দেবেন। এরপর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে এক মাসের মতো কয়েকবার প্রকাশ্যে আসেন। কিন্তু এরপরই হুট করে আবারও অন্তরালে চলে যান। বলতে গেলে গত মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে তাকে চলচ্চিত্রের মানুষ বা সংবাদকর্মীরা আর খুঁজে পাচ্ছেন না। মুঠোফোনে কল দিলেও পপি তা রিসিভ করেন না। একটি সূত্র বলছে, তার স্বামী আগের মতোই চাচ্ছেন না পপি আর প্রকাশ্যে আসুক বা ছবির কাজ করুক। বলতে গেলে ২০২১ সাল থেকেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান এই নায়িকা। এরই মধ্যে বিয়ে এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার কাজ সেরে নেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তায় হঠাৎ লাইভে এসে নায়ক জায়েদ খানের সম্পর্কে কিছু অভিযোগ করেন পপি। এরপর আবার লুকিয়ে পড়েন তিনি। সর্বশেষ এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ্যে এলেও এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। তাহলে কি আজীবন অন্তরালেই থেকে যাবেন পপি? এ প্রশ্ন এখন চলচ্চিত্রের মানুষ ও তার দর্শক-ভক্তদের।