ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সামনের সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা। এ নিয়ে তোড়জোড় চলছে প্রশাসনেও। গতকাল নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ এম জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দীর্ঘ আলোচনায় বসেন ছাত্রদল প্রতিনিধিদের সঙ্গে। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গেও এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনায় বসবে বলে জানান প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও এবারের নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে গত ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল ‘ডাকসু পোল’ নামে এক জরিপ কার্যক্রম শুরু করে। মোট ১ হাজার ৭৪৩ জন শিক্ষার্থী জরিপটিতে অংশ নেন। ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী মত দিয়েছেন, ছাত্র-শিক্ষক মিলে যৌথভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের পক্ষে। অন্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহির থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
ডাকসুর টাইমলাইন নিয়ে দেওয়া প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার কথা মে মাসের প্রথমার্ধে। চলতি মাসের মাঝামাঝি প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কার্যক্রম কোন মাসে চলবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানায়, ‘চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী জুনের মধ্যেই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছে।’
নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসুর যে রূপরেখা দিয়েছে সে অনুযায়ী এ সপ্তাহে ডাকসুর গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি নিয়ে ফিডব্যাক আলোচনা চলছে। ছাত্র সংগঠন, প্রভোস্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এখানে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠনসহ অন্যান্য যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা চলমান থাকবে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনার হতে পারেন যারা : নির্বাচন কমিশনার কে হবেন সে বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও প্রশাসনের আলোচনায় আছেন বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শামীম রেজা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক উপমা কবীর, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হকের নাম শোনা যাচ্ছে।