জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারমীন জোহা শশী। ক্যারিয়ারের শুরুতে কোহিনূর আক্তার সুচন্দা পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমায় টুনি চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন। এরপর থেকে একটানা ব্যস্ত নাটক, সিরিয়াল, ডাবিং আর বিজ্ঞাপন নিয়ে। অভিনয় ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
সাম্প্রতিক ব্যস্ততা কী নিয়ে?
সাম্প্রতিক সময়ে ‘বাবা ট্রেন নিয়ে আসলেই আমরা দাদু বাড়ি যাবো’ শিরোনামে একটি স্বনামধন্য টেলি কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেছি। মিষ্টি গল্পের কাজটি নিয়ে সবার প্রশংসা পাচ্ছি। সিঙ্গেল সিরিয়ালও করছি। তবে বলার মতো আরেকটি কাজ হিসেবে বলব, একটি জনপ্রিয় কোরিয়ান ড্রামা ‘ডিসেনডেন্টস অব দ্য সান’র (ডটস) অফিশিয়াল বাংলা ভার্সনে কেন্দ্রীয় চরিত্র সার্জন ডা. কাং মো ইয়নের কণ্ঠ দিয়েছি। ভিউজ ও ভিশনস’র ব্যানারে ‘ডটস’-এর অফিশিয়াল বাংলা ভার্সন পরিচালনা করেছেন খালিদ হোসাইন অভি। বিভিন্ন চরিত্রে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন ইরফান সাজ্জাদ, রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, এ বি এম সুমন, শ্যামল মাওলা এবং আরিক আনাম খান। পয়লা মে থেকে টফিতে এর প্রচার শুরু হয়েছে।
‘ডটস’-এর গল্পটি কী নিয়ে?
ডিসেনডেন্টস অব দ্য সান-এর গল্প ঘুরে দাঁড়ায় স্পেশাল ফোর্সের অফিসার ক্যাপ্টেন ইউ সি-জিন এবং সাহসী সার্জন ডা. কাং মো ইয়নের জীবনের ইভেন্টফুল রোমান্সকে ঘিরে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উরুকে গিয়ে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন তারা। ভূমিকম্প, মহামারি, বিপদের ভিতর জন্ম নেয় ভালোবাসা। পাশাপাশি এগিয়ে চলে সার্জেন্ট সিও দে-ইয়ং ও চিকিৎসক ইউন মিয়ং-জুকের আবেগঘন প্রেমকাহিনি।
বিবাহিত জীবন কেমন কাটছে? স্বামী হিসেবে ভালোবাসার মানুষটি কেমন?
আলহামদুলিল্লাহ, খুবই সুন্দর কাটছে। আমরা অনেক অনেক ভালো আছি। আর আমার স্বামী খুবই ফ্রেন্ডলি। খুবই আড্ডাবাজ। ও খুবই মিউজিক পছন্দ করে। যদি কাউকে এমনও পেয়ে যায়, ওই লোকটির মধ্যে মিনিমাম মিউজিক সেন্স আছে, তাহলে তার সঙ্গে ওর খুব জমবে। জীবনটা দিয়ে দেবে বলা যায়... হা হা হা। তার সঙ্গে প্রচুর আড্ডা হবে, ফুর্তি হবে। মানে ও খুবই ফুর্তিবাজ একটা ছেলে। কিন্তু ও যখনই স্টুডিওতে ঢুকল, আর্টিস্টকে বুথে দিয়ে দিল, সে সময়কার মানুষটাও সম্পূর্ণ রকম আলাদা। আর ওর ডাবিংটা অন্যদের থেকে ডিফারেন্ট। সে কারণেই মানুষ তার ডাবিংটা পছন্দ করে।
শশী সব সময় হাসিখুশি। হেটার্স মনে হয় তেমন নেই, তাই না?
প্রচুর হেটার্স আছে। এটা এত সুপ্ত যে, কেউ বুঝবে না। কিন্তু আমি বুঝি। কেউ যদি বাইরে থেকে দেখে তাহলে কখনোই বুঝবে না। বাইরে থেকে দেখে অনেকে মনে করেন, শশীর কোনো হেটার্স নেই, কোনো নেগেটিভিটি নেই। খুবই পজিটিভ থাকে সে। পজিটিভ বলে। ওকে ফাইন, সেটার জন্য আমি খুবই খুশি। আমিও চাই আমাকে নিয়ে মানুষ এমনটাই ভাবুক।
এখন কাজ কমিয়ে দেওয়ার কারণ কী?
আমি কাজ কমিয়ে দিয়েছি না, আমি সব সময় পছন্দমতো কাজ করতে চাই। বরাবরই একটু বেছে বেছে কাজ করি। মনের মতো না হলে করতে ইচ্ছা হয় না। আমার ক্যারিয়ারের গ্রাফটা অন্যরকম। যখন আমি রেগুলার মানে ৩০ দিন কাজ করেছি, তখন মনে হতো মাসটা ৩০ দিনে না হয়ে ৩১ দিনে হলে ভালো হতো। কারণ, সে সময় যারা ডেট চেয়েছে, সেটা তো দিতে পারতাম না। এত ব্যস্ততা ছিল একটা সময়। তখনকার দিনেও আমি যেটা করতাম, একটা শুটিং বা ক্যারেক্টার থেকে বেরিয়ে দুটো দিন নিতাম নিজেকে সময় দেওয়ার জন্য। তখন বলতাম, আমার ডেট নেই। কারণ, ওই দুটো দিন আমার চাই; আমার কস্টিউম, আমার ক্যারেক্টারে ঢোকার জন্য। তখনকার দিনেও আমি এমন করে রেসিওটা মেনটেইন করতাম। এখন এমন সব বুলশিট ক্যারেক্টারের জন্য আমার কাছে অফার আসে, যেগুলো করতে ইচ্ছা করে না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পছন্দটা তো চেঞ্জ হয়েছে এখন। দর্শকের টেস্ট চেঞ্জ হয়েছে।