কুমিল্লার মুরাদনগরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আড়াই বছরের শিশুসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অন্তত ২০ জনকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উপজেলার চাপিতলা, বাঙ্গরা পূর্ব, বাঙ্গরা পশ্চিম, রামচন্দ্রপুর উত্তর ও নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের ধনপতিখোলা, দিঘিরপাড়, বিষ্ণুপুর, শ্রীরামপুর, পুষ্করনিরপাড়, পাকগাজীপুর, খামারগ্রাম, সিংহারিয়া, বাখরনগর ও রাজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকটি বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়িয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পুরো উপজেলায় অর্ধশতাধিক মানুষ কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হন।
গুরুতর আহতরা হলেন—উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের আড়াই বছর বয়সী জান্নাত আক্তার, লিটন (৩৫), ফয়সাল (৩৫), জজ মিয়া (৫২), বেবি আক্তার (৪০), বেবি আক্তার-২ (৩৫), নুরজাহান (৮০), শ্রীরামপুর গ্রামের মাজেদা (২০), হাবিবুল্লাহ (৬), লুৎফা (২২), সিফাত (৪), পুষ্করনিরপাড় গ্রামের নুসরাত (৫), পাকগাজীপুর গ্রামের আবু সাঈদ (৫), হামদু মিয়া (৭০), ধনপতিখোলা গ্রামের তাজুল ইসলাম (৬৫), রাজনগর গ্রামের হুজাইফা (সাড়ে তিন বছর), সিংহারিয়া গ্রামের আলম (৪৫), বাখরনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়া (৬২), দিঘিরপাড় গ্রামের হামিদা (৮) ও খামারগ্রাম গ্রামের বাহাদুর (৪৫)।
এদিকে শুক্রবার বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের খামারগ্রাম গ্রামে প্রবেশ করে আরেকটি কুকুর পাঁচজনকে কামড়ায়। পরে গ্রামবাসী সেই কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, কুকুরের কামড়ে আহত ২০ জনকে চিকিৎসা ও টিকা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান বলেন, শুনেছি পাগলা কুকুর খুব ভয়ংকরভাবে আক্রমণ করেছে। কুকুরের কামড়ে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল