বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ও মহাসড়ক অবরোধ পালন করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
এদিন সকাল থেকে জেলার ছয়টি মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পিকেটিং করে নেতাকর্মীরা। ফলে দূরপাল্লা ও আন্তজেলা সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনও বন্ধ থাকে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। ফলে কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি। জেলার সব উপজেলায়ও সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়।
হরতালে মোংলা ইপিজেড, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বাগেরহাট বিসিকসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা কর্মস্থলে যেতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে দুর্গোৎসব ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে দোকানপাট, রিকশা-ভ্যান ও অটোরিকশা চলাচল হরতালের বাইরে রাখা হয়। এতে জনজীবন আংশিক স্বাভাবিক ছিল।
বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, “বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে হবে। এটি বাগেরহাটবাসীর ন্যায্য দাবি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আরও কঠোর আন্দোলন চলবে।”
তিনি জানান, মঙ্গলবার ও বুধবার (১৬–১৭ সেপ্টেম্বর) জেলাব্যাপী ঘোষিত অর্ধদিবস হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ওই দুই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিস অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত গেজেটে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটিতে আনা হয়েছে। নতুন সীমানায় বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসন করা হয়। এর আগে স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন ছিল।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল