চলতি বছরের মে মাসে চার দিনের সংঘাতে জড়ায় ভারত ও পাকিস্তান। এই যুদ্ধে ভারতকে সামরিকভাবে পেছনে ফেলেছে পাকিস্তান- এমনটি দাবি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের তৈরি প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটি মার্কিন কংগ্রেসে জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান চীন নির্মিত জে-টেনসি, পিএল-১৫ এবং এইচকিউ-৯সহ উন্নত অস্ত্র ব্যবহার করে ভারতের রাফালসহ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
প্রতিবেদনের মূল পয়েন্টগুলো হচ্ছে: পাকিস্তান প্রথমবারের মতো চীনের আধুনিক অস্ত্রব্যবস্থা সক্রিয় যুদ্ধে সফলভাবে ব্যবহার করেছে।পাকিস্তানের এই সামরিক সাফল্য চীনের বৈশ্বিক অস্ত্রবিক্রয় প্রচারণায় বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।
সংঘাতে দুই দেশই একে অপরের ভেতরে গত ৫০ বছরের তুলনায় সবচেয়ে গভীরে হামলা চালিয়েছে। ভারত ৫–৬ মে রাতের দিকে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে সংঘাতের সূচনা করে-দাবি নয়াদিল্লির।
পাকিস্তানের পাল্টা হামলা ‘অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস’–এর মাধ্যমে ২০টিরও বেশি ভারতীয় সামরিক স্থাপনাসহ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
পাকিস্তান জানায়, তারা রাফালসহ সাতটি ভারতীয় ফাইটার জেট এবং ডজনখানেক ড্রোন ধ্বংস করেছে।পাকিস্তানের জেএফ-১৭ জেট ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০কে অ্যাডামপুরে ভেঙে দেয় হাইপারসনিক মিসাইল দিয়ে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংঘাতের পর চীন পাকিস্তানকে ৪০টি জে-৩৫ স্টেলথ জেট, কেজি-৫০০ নজরদারি বিমান এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এই স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধটি ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়। সূত্র: জিও নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ