ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ শুরু হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে এ অঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ভাঙ্গায় এ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। ‘আলগী ইউনিয়ন, হামিরদী ইউনিয়ন ও ভাঙ্গা উপজেলা সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে আলগী ইউনিয়ন পরিষদে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান ম. ম. সিদ্দিক মিঞা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
অবরোধ কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ভাঙ্গার হামিরদী, পুখুরিয়া, সোয়াদী, মুনসুরাবাদ ও ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। এসময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক মানুষ টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। হামিরদী এলাকায় ঢাকা অভিমুখী নকসী কাঁথা ট্রেন আটকা পড়ে।
এর আগে, একই দাবিতে আন্দোলনকারীরা দুই দফায় চারদিন অবরোধ পালন করেছেন। এছাড়া শনিবার সকালে শ্রমজীবী কৃষক শ্রমিক সংঘ, ভাঙ্গা মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশন ও অঙ্গীকার-৯২ নামের তিনটি সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে নির্বাচন কমিশন ভাঙ্গার দুটি ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে দিয়েছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব মোল্লা, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা সরোয়ার হোসেন, ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর মুন্সী প্রমুখ।
ভাঙ্গা উপজেলা একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ২০০৮ সাল থেকে উপজেলা পুরোপুরি ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত। তবে নির্বাচন কমিশনের সম্প্রতি প্রকাশিত গেজেট (৪ সেপ্টেম্বর) অনুযায়ী, আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে একীভূত করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা বলছেন, কোনও অবস্থাতেই ভাঙ্গাকে খণ্ড করা যাবে না। দুটি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ