ভয়াবহ টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এমতাবস্থায় প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। আসন্ন আরও একটি সুপার টাইফুন নিয়ে সতর্ক করেছেন।
স্থানীয়ভাবে টিনো নামে পরিচিত এই ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার দেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের আটটি এলাকায় আছড়ে পড়ে। যা এ বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে আঘাত হানা প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবু প্রদেশ। যেখানে বুধবার ঝড় থামার পর ব্যাপক ধ্বংসের চিত্র সামনে এসেছে। দুই লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। অনেকেই ফিরে এসে দেখেন তাদের বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন, গাড়ি উল্টে আছে এবং রাস্তা জুড়ে কেবল ধ্বংসস্তূপ। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে কঠিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান। কমিউনিটির মানুষজন বাড়ি থেকে কাদা সরাচ্ছেন এবং রাস্তা থেকে বড় বড় ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করছেন।
খারাপ খবর হলো, কালমেগির তাণ্ডব সম্ভবত এখনো শেষ হয়নি। মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার (জেটিডব্লিউসি) জানিয়েছে, ঝড়টি পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করে এখন ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় জেটিডব্লিউসি তাদের সর্বশেষ সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, কালমেগি ভিয়েতনাম উপকূলের দিকে প্রবল বেগে এগিয়ে চলেছে এবং সর্বোচ্চ তীব্রতায় পৌঁছাচ্ছে। ক্যাটাগরি ৪ স্তরের টাইফুনটি আরও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেটিডব্লিউসি জানায়, টাইফুন কালমেগি দ্রুত গতিতে অগ্রসর হবে... এবং মধ্য ভিয়েতনামের কি নন শহরের ঠিক উত্তরে উপকূলে আছড়ে পড়বে।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল