সঠিক ব্র্যান্ডিং ও কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা গেলে আন্তর্জাতিক বাজারেও ‘ভোলার তরমুজ’ নামে পরিচিতি পাওয়া সম্ভব—এমন মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনেরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ভোলার তরমুজকে জাতীয়ভাবে ব্র্যান্ডিং করা এবং এর ভ্যালু চেইন উন্নয়নে বহুপাক্ষিক অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে সদর উপজেলা কৃষি অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠক হয়। বৈঠকের আয়োজন করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান আলোচক ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এসএসিপি প্রকল্পের উপ–প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আবু সিয়াম জুলকারনাইন। আলোচনায় আরও অংশ নেন এফএও–এর কারিগরি পরামর্শক মার্টিন ভ্যান ডি গ্রিপ, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় তরমুজ চাষি, প্রক্রিয়াজাতকারী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের অন্যতম তরমুজ উৎপাদন অঞ্চল ভোলায় বাজার কাঠামোর দুর্বলতার কারণে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত কার্যকর ভ্যালু চেইন গড়ে তোলা গেলে কৃষকের আয় বাড়বে এবং মানসম্মত তরমুজ বাজারজাত করাও সহজ হবে।
আলোচনায় ভোলার তরমুজ রপ্তানির সম্ভাবনাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। বক্তারা জানান, ভোলার জলবায়ু ও মাটির গুণগত বৈশিষ্ট্যের কারণে এখানকার তরমুজ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি সুস্বাদু ও উন্নত মানের। সঠিক ব্র্যান্ডিং, সংরক্ষণ ও বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা গেলে আন্তর্জাতিক বাজারেও ‘ভোলার তরমুজ’ আলাদা পরিচিতি পেতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন