মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে ভারতের নদিয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা পচি খাতুনের (৬৫) মরদেহ তার বাংলাদেশি স্বজনদের দেখতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবি ও বিএসএফের আন্তরিক সহযোগিতায় সীমান্তে এনে প্রায় ২০ মিনিট মরদেহ দেখার সুযোগ পান নানাবাড়ির স্বজনরা। পরে মরদেহ ফেরত পাঠানো হয় ভারতে।
পচি খাতুনের শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর যেন অন্তত একবার বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়রা তাকে দেখতে পান। সেই ইচ্ছা পূরণ হয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মানবিক উদ্যোগে।
সীমান্তের ১২৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় নিকট আত্মীয়দের পাশাপাশি আশপাশের শতাধিক মানুষ শেষবারের মতো তাকে বিদায় জানান।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন মুজিবনগর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার আবুল বাশার এবং ভারতের পক্ষ থেকে ছিলেন বিএসএফ চাপড়া কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার।
বিজিবি কমান্ডার আবুল বাশার জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে মরদেহ দেখানোর অনুরোধ জানানো হলে তারা সাড়া দেন। এ আয়োজনের মাধ্যমে শুধু স্বজনদের নয়, দুই বাহিনীর মধ্যেও আন্তরিকতা তৈরি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ