নেত্রকোনা সদরের চল্লিশায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর পালিয়ে যাওয়া আসামী ষাটোর্ধ বয়সী এরশাদ আলীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাজেন্দ্রপুর নিজ বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটানোর পর পালিয়ে গেলে অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় শনিবার মামলা আমলে নিয়ে রবিবার (২৪ আগস্ট) সকালে তাকে গ্রেফতার করে।
মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের সহায়তায় নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশের তদন্তকারী অফিসার এসআই মো: ফজলুল করিম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন ভারত সীমান্তবর্তী তারাপুর এলাকা থেকে আসামীকে আটক করা হয়। এর আগে শুক্রবার দুপুরে আংটি ও টাকার লোভ দেখিয়ে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিশুর চিৎকারে পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশিরা গিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদিকে অভিযুক্ত এরশাদ ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়।
পরে শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়। রাতে শিশুর মা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া শনিবার মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযানে নামে। পুলিশ জানায় এরশাদ আলী চল্লিশা রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। চট্রগ্রাম শ্রমিকের কাজ করে। বাড়িতে এসে প্রতিবেশি শিশুটিকে আদরের ছলে আংটি দিয়ে ও টাকা দিয়ে ঘরে ডেকে নেয়।
ওসি জানান, সীমান্ত এলাকায় তাকে পাওয়া গেছে। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়তো করছিলো। তাকে নেত্রকোনা থানায় নিয়ে আসার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হবে। তিনি বলেন এগুলো বিকৃত মস্তিস্কের কাজ।
বিডি প্রতিদিন/এএম