ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনে দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিকরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে প্রধান প্রধান সড়কসহ মহাসড়কে সব ধরনের সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী এবং রোগীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। ফলে চাপ বেড়েছে বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহনে। তবে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়ে বিক্ষুদ্ধরা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করার ফলে।
এতে মহাসড়কের দু’পাশে ১০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে যাত্রীরা পায়ে হেঁটে তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রায় ৩ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল শুরু করে। তবে তাদের ৩ দফা দাবি, জব্দকৃত সকল সিএনজিচালিত অটোরিশা ছেড়ে দেওয়া, পারমিট অনুযায়ী জেলার সর্বত্র অবাধ চলাচল এবং ট্রাফিক বিভাগের হয়রানি বন্ধ করার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশা ধর্মঘট চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, গত দুই দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা যে ধর্মঘট চলছে, এতে আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী ও শিশুদের নিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। এর মধ্যে সড়ক অবরোধ করার ফলে আমাদের জন্য দুর্ভোগের শেষ নেই। আমরা এসব সমস্যার সমাধান চাই।
জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. স্বপন মিয়া বলেন, তিন দফা দাবি আদায়ে আমাদের ধর্মঘট কর্মসূচি চলমান রয়েছে। তবে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, সিএনজি মালিক সমিতির বিভিন্ন দাবি রয়েছে। সেজন্য তারা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। মালিক শ্রমিকদের জানানো হয়েছে চলমান সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সকলে মিলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হবে। সেই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মহাসড়ক থেকে তাদের অবরোধ তুলে নিয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই