শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
আজ রবিবার (২৯ জুন) বেলা ১২টায় উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের কোলচোরি পাতারচর গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতি বছর নদী ভাঙনের শিকার হন তারা। সম্প্রতি বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর এলাকার মোসলেম বেপারী, সোহেল বেপারী, শামীম বেপারী ও নিজাম বেপারীর নেতৃত্বাধীন একটি চক্র দিনরাত নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। তারা শুধু নদী নয়, নদীর তীরবর্তী ফসলি জমির মাটিও কেটে নিচ্ছে। এতে নদীভাঙন আরও তীব্রতর হচ্ছে এবং বসতভিটা হারানোর শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ রয়েছে, বালু উত্তোলনে বাধা দিলে ওই চক্রের সদস্যরা একাধিকবার বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং মারধরের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
ভুক্তভোগী সুজন মাঝি, হাবিব মাঝি, মহিউদ্দিন মাদবর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক মুন্সী বলেন, ‘আমরা মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে হিজলা উপজেলার হরিনাথপুরের একটি প্রভাবশালী চক্র নদী ও ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। আমরা বাধা দিলে রাতের আঁধারে আমাদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও মারধর চালানো হয়। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের ভিটেমাটি ও জমি রক্ষায় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ