গাজীপুরের শ্রীপুরে ডাকাতের হামলায় নিহত সিএনজি অটোরিকশা চালকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে বিএনপি’র পক্ষ থেকে পরিবারের ৮ সদস্যের খোঁজ খবর নেন বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ভিত্তিক নিপীড়িত নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা সেলের গাজীপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। এসময় তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোসলেহ উদ্দিন মৃধা, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ইউসিসিএ’র (বিআরডিবি)’র সভাপতি সাংবাদিক এসএম মাহফুল হাসান হান্নান, আহ্বায়ক সদস্য আবদুল হান্নান সজল, বিএনপি নেতা বশির আহমেদ কাজল, বিএনপি’র নেতা রমজান আলী, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রিপন ফকির, যুবদল নেতা সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
পরিবারের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন মেয়ে, দুই ছেলে, মা, বোন ও এক নাতনীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল নিহত সিএনজি অটোরিকশা চালক আবুল কালামের। আটজনের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম আবুল কালামকে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে শ্রীপুরের মাওনা-সাতখামাইর-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সাতখামাইর বাজারের চেরাগআলী মাজার এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির সময় ডাকাতদল সিএনজি চালক আবুল কালামকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে ৮ সদস্য নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় স্ত্রী পারুল আক্তারকে। স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায় হয়ে পড়া পরিবারটির এমন অসহাত্বের খবর শুনে ছুটে যান অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্দেশনায় গঠিত নিপীড়িত নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা সেল থেকে দেওয়া হবে।
নিহতের স্ত্রী পারুল আক্তার জানান, অন্যের জমিতে ৪০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন তারা। সিএনজি চালিয়ে পরিবারের হাল ধরেছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম আবুল কালাম। দিনে ছেলে ও রাতে বাবা সিএনজি চালানোর পাশাপাশি কৃষি কাজ করতো সে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বের হন। মধ্যরাতে ডাকাতের হামলায় আহত হওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবা আবুল কালামকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় নেয়া পরামর্শ দেন। এসময় তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আবুল কালামের উপার্জনে তিনিসহ তিন মেয়ে, দুই ছেলে, মা ও বোনের সংসার অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন তারা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল