নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে নিম্নচাপের প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ১২৫টি ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে হাতিয়ার সাথে নোয়াখালীসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়াই আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলীয় হাতিয়া দ্বীপের বাসিন্দারা।
শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিম্নচাপের প্রভাবে টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ, হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, তমরুদ্দি, চরঈশ্বর, বয়ারচর, চানন্দি ভূমিহীন বাজার, চরকিং, সোনাদিয়া ইউনিয়নসহ ৯টি ইউনিয়নে ১২৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়া গবাদি ও গৃহপালিত ৭০টি পশু, মাটির রাস্তা ৫৭ কিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬ কিলোমিটার, কালভার্ট ৬টি, পুকুর ৭৩টি, দোকান ৭০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। তবে নিম্নাঞ্চলে পানি এখন সরে গেছে। গত দুই দিনে প্রায় ৫০০ পরিবারকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এটি চাহিদার তুলনা খুব সামান্য। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা প্রণয়ন করার কাজ চলছে।
এছাড়া কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা চর এলাহী ইউনিয়নের একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে বেশ কিছু বাড়ি যাওয়ার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতিয়া ও সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দ্রুত ভাঙা বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা। অপরদিকে, জেলা শহর মাইজদীর বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই