ফিলিস্তিনের গাজায় সামরিক অভিযানের কারণে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি হাউজ অফ কমন্সে এ ঘোষণা দেন। তিনি ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপকে জঘন্য ও নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেন।
ল্যামি আরও জানান, ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে ফরেন অফিসে তলব করে জানানো হয়েছে যে গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়া অমানবিক। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিকভাবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করছে।
যুক্তরাজ্য সরকার পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যার মধ্যে তিনজন ব্যক্তি, দুইটি অবৈধ বসতি এবং দুইটি সহিংসতা উসকে দেওয়া সংগঠন অন্তর্ভুক্ত। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপকে অযৌক্তিক ও ইসরায়েল-বিরোধী মনোভাবের ফলাফল বলে মন্তব্য করেছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যম এক্স এ লিখেছেন- বাইরের চাপ ইসরায়েলকে তার অস্তিত্ব রক্ষা ও যারা ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চাওয়া শত্রুদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ থেকে সরাতে পারবে না।
তিনি লিখেছেন, ডেভিড ল্যামির বক্তব্যের আগে যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক ওই আলোচনা একেবারেই অগ্রসর হয়নি। যুক্তরাজ্য যদি ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অর্থনীতির ক্ষতি করতে চায়, তাহলে সেটি দেশটির নিজের বিষয়।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফ্রান্স, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াও ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সমালোচনা করেছে এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার সতর্ক করেছেন যে, জরুরি সহায়তা না পৌঁছালে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪,০০০ শিশু মারা যেতে পারে। এই সংকটের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার গাজায় শিশুদের দুর্দশাকে সহ্য করার অযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
তথ্য সূত্র- আলজাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ