অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল দুপুরে নোবেলকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মুরাদ হোসেন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত সোমবার রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক তরুণীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নামাতে দেখা যায় নোবেলকে। গতরাতে ওই তরুণী ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফি ও মারধরের অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরপরই নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, ‘নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারধর ও ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নোবেলের বাসায় গত ছয় মাস ধরে আটক রাখা হয় তাকে।
পুলিশ বলছে, ফেসবুকে ভুক্তভোগীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে পরিবার মেয়েটিকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে। এরপর গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেমরা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে ওই তরুণী মামলা করলে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই সিসিটিভি ভিডিওতে এক তরুণীকে মারধর করে হাত ধরে টেনেহিঁচড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে নিতে দেখা যায়। এ সময় কয়েকজন বাধা দিতে দেখা গেলেও নোবেলকে থামানো যায়নি।
ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, নোবেল দাবি করেছেন, ওই তরুণী তার স্ত্রী, মৌখিকভাবে কলমা পড়ে তাকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু বিয়ে সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।