ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ভবন ও এলাকা বর্তমানে মাদকসেবীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
একসময়কার আধুনিক ভবন ও কলোনি এখন বন-জঙ্গলে ঢাকা পড়ে ভয়ঙ্কর পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে দিনের আলোতেও ভীতিকর এক পরিস্থিতি তৈরি করে।
ষাটের দশকে গড়ে ওঠা এই ৩৫ একরের স্থাপনায় রয়েছে অফিস ভবন, আধুনিক আবাসিক ভবন, ক্লাব ও খেলার মাঠ। বর্তমানে ভবনগুলো পরিত্যক্ত এবং বসবাসের অনুপযোগী। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা রয়েছেন কার্যত নিষ্ক্রিয় অবস্থায়। প্রতি মাসে তাদের বেতনে ব্যয় হচ্ছে ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা, অথচ কোনও কার্যকর তৎপরতা নেই।
একাধিক ভবনে এখনও কিছু ব্যক্তি বিনা ভাড়ায় বাস করছেন, কেউ কেউ এসি পর্যন্ত ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিবছর গুণছে মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আনসার সদস্য জানান, তারা দায়িত্ব পালন করছেন অস্ত্র ছাড়া, শুধুমাত্র জেলা কমান্ডের একটি চিঠির ভিত্তিতে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস জানান, ভবনগুলোর কিছু মেরামতের চেষ্টা চলছে, কিছু ভবন কনডেম ঘোষণার প্রস্তাব আছে। তবে মাদক-আসক্তদের ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি এড়িয়ে যান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ