মৌলভীবাজারে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি, কাউয়া দিঘী, হাইল হাওরসহ ছোট বড় ৮টি হাওরে পাকা ধান কাটার ধুম পড়েছে। হাওরের বিস্তীর্ণ মাঠ এখন পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত। কৃষক-কৃষাণীরা পাকা ধান ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। একদিকে কৃষকরা মাঠ থেকে পাকা ধান এনে মজুদ করছেন। অপরদিকে, কৃষাণীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান থেকে ময়লা পরিষ্কার করে গোলায় তুলছেন।
পয়লা বৈশাখ থেকে হাওরগুলোতে ধান কাটা শুরু হয়। আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে গোলায় ধান তুলতে পেরে কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত জেলায় ৭৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে, যার পরিমাণ ২০ হাজার ৪৮৬ হেক্টর। এবার জেলায় ৮টি হাওরে ২৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ধান ৫ হাজার ৪৫২ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ২১ হাজার ৮০৮ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ৫৫ হেক্টর।
কাউয়াদিঘী হাওর পাড়ে কৃষক খায়রুল বলেন, আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় বোরো ধানের ফসল ভালো হয়েছে। মৌলভীবাজারের আকাশে ঝলমলে রোদ থাকায় দ্রুত ধান শুকিয়ে গোলায় তুলতে পারছেন।
কৃষক মিজান মিয়া বলেন, হাওরে বোরো ধান আবাদ করতে জমিতে তেমন চাষ লাগে না। হাওর থেকে পানি নেমে গেলে চারা লাগালে সোনালী ফসলে ভরে যায় মাঠ। এবার আকাশে বৃষ্টি না থাকায় সুন্দরভাবে ধান গোলায় উঠানো যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন বলেন, এবার সময়মতো বৃষ্টি ও রোদ থাকায় এ জেলায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় হাওরের কৃষকরা খুশি। এ বছর হাওর থেকে হাওরের উপরিভাগে বোরো আবাদ বেশি হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাওরের নিচ দিকে প্রায় ৮০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই