দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার লোকজনের যাতায়াতের অন্যতম নৌপথ হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ। ঈদের দুই থেকে তিন দিন বাকি থাকলেও যাত্রী ও যানবাহনের চাপ তেমন নেই। কখনো যাত্রীর দেখা মিললেও আবার কখনো ঘাট পুরোটাই ফাঁকা। এছাড়াও পর্যাপ্ত ফেরি থাকার কারণে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে এমনই চিত্র পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। কয়েক বছর আগেও যেখানে ফেরির অপেক্ষায় থাকতো হাজারও যাত্রী, এবারের ঈদযাত্রায় যানবাহনের জন্য ফেরিকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, যাত্রী ও যানবাহন নির্বিগ্নে পারাপার করতে ২৩টি ফেরি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৬০০ পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। মূলত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে যায়। এখন আর আগের মতো যানজট হয় না। নেই কোনো ধরনের জটিলতা। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারএণ ফেরি চলাচলে সময় বেশী লাগছে। ঘাটে দূরপাল্লার বাস কম পারাপার হলেও ছোট গাড়ি অর্থাৎ প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে একটু বেশি।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের এজিএম আব্দুস সালামের মতে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ৪০ শতাংশ যানবাহন কমে গেছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। ফলে গত কয়েক বছর ধরে ঈদে যানবাহনের বাড়তি চাপ নেই। তবে ঈদের দু’একদিন আগে যানবাহন এবং যাত্রীর চাপ বাড়লেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ফেরি থাকায় ঘাট এলাকায় কোনো ধরনের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে না যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, এবার ঈদযাত্রায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৭টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ৬টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত