খানসামা সদরে অবস্থিত ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি জনবল নিয়োগ না দিয়েই ২০২১ সালে উদ্বোধন করা হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আওতায় বহিরবিভাগে রোগীদের জরুরি সেবা ও ওষুধপত্র দেওয়া হত। কিন্তু বেশ কিছুদিন সেবার পর প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে সেখানে সবধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে যন্ত্রপাতি নষ্টের আশংকা করছেন। হাসপাতালটি চালুর জন্য বার বার পত্র দেয়া হলেও চালু হয়নি। সেবা বঞ্চিত মানুষ।
অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার দুরে পাকেরহাটে অবস্থিত হওয়ায় হাসপাতালটি চালু হলে খানসামার গোবিন্দপুর, টংগুয়া, বেলপুকুর, হোসেনপুর, জাঙ্গিলপুর, তুলশিপুর, বাশুলী, জয়গঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলা, দেবিগঞ্জ ও নীলফামারী উপজেলার অনেক মানুষের চিকিৎসা সেবা মিলবে। তাই দ্রুত আর্থিক কোড ও জনবল নিয়োগ দিয়ে চালুর দাবি উঠেছে।
জানা যায়, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর জনবল নিয়োগ না দিয়েই তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন করা হয় হাসপাতালটি। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকার সাধারণ মানুষ।হাসপাতালটিতে আধুনিক অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই কোনো কার্যক্রম। দেখা যায়, জনবল সংকট থাকা এই হাসপাতালের ভেতরে তালাবদ্ধ অধিকাংশ দরজা। মাঝে মাঝে বদ্ধরুমগুলো খোলা হলেও হাসপাতালে নেই তেমন কোনো কার্যক্রম। সাধারণত হাসপাতালটিতে একজন আবাসিক চিকিৎসক, কনিষ্ঠ বিশেষজ্ঞ পদে চারজন, সহকারী সার্জন পদে একজন, জ্যৈষ্ঠ সেবিকা পদে ছয়জন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে একজন ও ফার্মাসিস্ট পদে একজন, অফিস সহকারী, ল্যাব অ্যাটেনডেন্টসহ অনিয়মিত পদে ওয়ার্ড বয়, আয়া, এমএলএসএস, নিরাপত্তাকর্মী ও সুইপারপদ বিভিন্ন পদে আরো ১১ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও উদ্বোধনের পর উপজেলা হাসপাতালের কয়েকজনকে দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হলেও পরবর্তীতে তা বন্ধ হয়ে যায়।
হাসপাতালটি দুই তলা বিশিষ্ট চিকিৎসা কেন্দ্র। এছাড়াও রয়েছে তিনটি দুইতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন, রান্না ঘর, গ্যারেজসহ অন্যান্য অবকাঠামো। পানি সরবরাহ লাইন নষ্টের কারণে কর্মচারীদের আবাসিক ভবনটিও বন্ধ রয়েছে।
আলোকঝাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, ইউপি সদস্য এনামুল হক, ইউপি সদস্য আনোয়ারুল হক বলেন, জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক কোড অনুমোদোনসহ জনবল নিয়োগ দিয়ে মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা দরকার।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জনবল অভাবে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি সেবা বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে যন্ত্রপাতিও মিশিং হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আর্থিক কোড চালুসহ জনবল নিয়োগের জন্য একাধিকবার পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ