দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে গাইবান্ধায় বাজার মনিটরিং করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি। এ সময় অনিয়মের কারণে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা এবং এক ব্যবসায়ীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের পুরাতন বাজারে এ মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল মামুন।
এ সময় মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ভেজাল শিশুখাদ্য বিক্রি ও ক্রয় রশিদ না রাখার কারণে মেসার্স একরামুল স্টোরকে ১ লাখ ১০ হাজার জরিমানা করা হয় এবং ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আসাদুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া আলু, পেঁয়াজ-মরিচসহ নিত্যপণ্যের বাজার পরিদর্শন করা হয়।
মনিটরিংকালে ব্যবসায়ীদেরকে বেচাকেনার ক্ষেত্রে পাকা রশিদ রাখার নির্দেশনা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রির নিদের্শনা দেয়া হয়। অন্যথায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
এদিকে শহরের ডিবি রোডেও মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় লেবেলবিহীন পণ্য রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতামূলক ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মনিটরিং কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন, গাইবান্ধা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মন, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মিলন মিয়া, কৃষি বিপনন কর্মকর্তা এম এ আশিক ও জেলা ক্যাবের সভাপতি কে এম রেজাউল হক। এছাড়াও এ কার্যক্রমে জেলা পুলিশ সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ