ফরিদপুরের নগরকান্দায় ছাগল পালনের ঘরে তালাবদ্ধ সেই বৃদ্ধা সবজান খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কোদালিয়া-শহীদনগর ইউনিয়নের দেলবাড়িয়া গ্রামে সবজান খাতুনের বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজখবর নেন তিনি।
এসময় কৌশলে সটকে পড়েন বৃদ্ধা সবজান খাতুনের ছেলে আবুল কালাম। তবে পুলিশ আবুল কালামের স্ত্রী নাসিমা বেগমকে আটক করেছে।
জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে সবজান খাতুনকে ছাগল রাখার ঘরে আটকিয়ে রেখেছেন সন্তান আবুল কালাম ও তার স্ত্রী। বিভিন্ন সময়ে সবজানকে নানান রকম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন তারা। এমনকি ঠিকমতো খাবারও দিতেন না। বৃদ্ধা বসয়ে তিনি ওই ঘরেই অবহেলা-অযত্নে দিন কাটাচ্ছিলেন। ওখান থেকে কখনো তাকে বের হতে দেওয়া হতো না।
ছাগলের ঘরে থাকতে থাকতে অসহ্য হয়ে পড়েন সবজান। একপর্যায়ে রবিবার বিকেলে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে আনেন।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির বলেন, ওই বৃদ্ধা মায়ের অসহায়ত্বের সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার দুপুরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। অসহায় বৃদ্ধা মায়ের খোঁজখবর নিয়েছি। তাকে তাৎক্ষণিক নগদ টাকা, ইফতার সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়েছে। তার বসবাসের সুবিধার্থে, বসতঘর মেরামতের জন্য ঢেউটিন, ফ্যান ও লাইট প্রদান করা হবে। বৃদ্ধা মায়ের বয়স্কভাতা এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল