এবারের পবিত্র রমজানে ফেনী জামেয়া রশিদিয়া মাদ্রাসার প্রায় ১৬'শ জন হাফেজ দেশের বিভিন্ন জেলার ৯ শতাধিক মসজিদে তারাবি নামাজ পড়াবেন। আর এ বাবদ কোনো হাদিয়া বা সম্মানী নিচ্ছেন না কুরআনে হাফেজরা।
প্রতিবছরই এই উদ্যোগ নেয় জামেয়া রশিদিয়া মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটি তাদের শিক্ষার্থীদের একদম বিনা পারিশ্রমিকে সরবরাহ করে আসছেন। এবারও তাদরীবুল হুফফাজের তত্ত্বাবধানে দেশের বিভিন্ন জেলার (ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর) ৯২৯টি মসজিদে ১৫৪২ কুরআন হাফেজ খতমে তারাবির নামাজ পড়াবেন।
ফেনী জেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া রশিদিয়া। ১৯৯৪ সালে ফেনীর লস্করহাটে মুফতি মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ৭ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসার মোট ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। আবাসিক ছাত্র সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। ২১ জন বাবুর্চি, ১৬ জন স্টাফসহ ১১৫ জন সুযোগ্য শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে দেশের স্বনামধন্য এই মাদ্রাসাটি।
মাদ্রাসার তথ্য মতে, শবে বরাতের পূর্বে রেজিস্ট্রিকৃত মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তাদরীবের দায়িত্বশীলগণ খতমে তারাবীহ বিষয়ক মাসয়ালা-মাসায়েল এবং হাফেজ নেয়ার করণীয় বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করে, মার্কশিট বিবেচনায় মসজিদের জন্য হাফেজ নির্ধারণ করা হয়।
তথ্যসূত্রে আরো জানা যায়, সকল হাফেজগণ রমজানের দুদিন পূর্বে মাদরাসায় উপস্থিত হয়। খতমে তারাবীহ-এর কোনো বিনিময় গ্রহণ না করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়। প্রত্যেক মসজিদের জন্য নির্ধারিত হাফেজরা কমপক্ষে একদিন পূর্বে যার যার নির্ধারিত মসজিদে পৌঁছে যায়।
রশিদিয়া মাদ্রাসা কতৃপক্ষ জানায়, অনেক বছর আগ থেকেই তারা এমন কার্যক্রম করে আসছেন। ছাত্ররা এতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এমন আয়োজনে ছাত্রদের ভেতর কোন ধরনের লোভ-লালসা যেমন থাকবে না বরং তাদের কুরআন চর্চাও মজবুত হবে পাশাপাশি সওয়াবের পাল্লাও ভারী হবে।
জামেয়া রশিদিয়ার এমন উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে সাংবাদিক ইউনিয়ন ফেনীর সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন বলেন, বিনা পারিশ্রমিকে খতম তারাবির আয়োজন এটি সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেবে। তবে কুরআনে হাফেজ ছাত্রদের কোন ধরণের পারিশ্রমিক না দিলেও উপহার দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ