গাইবান্ধার সাঘাটা থানার সামনে থেকে কলেজছাত্র সিজুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যার অভিযোগে ১২ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও চার-পাঁচ জন। গতকাল দুপুরে মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন গাইবান্ধার সাঘাটা আমলি আদালতের বিচারক পাপড়ী বড়ুয়া। নিহত সিজুর মা রিক্তা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সাঈদ আল আসাদ। সিজু মিয়া (২৫) গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং গিদারি ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি। তিনি স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
আসামি হলেন সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম, এসআই মশিউর রহমান, মহসিন আলী, উজ্জ্বল, লিটন মিয়া, রাকিবুল ইসলাম, আহসান হাবিব, কনস্টেবল হামিদুল ইসলাম, আজাদুল ইসলাম, নয়নচন্দ্র, জয়চন্দ্র, ধর্মচন্দ্র বর্মণ এবং স্থানীয় যুবক সাব্বির হোসেন, ইউসুফ ও মমিনুল। মামলায় অভিযোগ করা হয়-গত ২৪ জুলাই বিকালে গাইবান্ধা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস চত্বর থেকে সিজুকে সাঘাটা থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। থানায় নির্যাতনের পর মৃতপ্রায় সিজুকে পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে ওই পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় সিজুর লাশ।
বাদীপক্ষের অন্য আইনজীবী জাহিদ হাসান জানান, শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী রিক্তা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আদালতে মামলা করেছি। ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ২৪ জুলাই রাতে সাঘাটা থানায় ঢুকে এএসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পুকুরে ঝাঁপ দেন সিজু। পরদিন পুকুরের কচুরিপানার মধ্য থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে তার লাশ।