মেহেরপুরের মুজিবনগরে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় ‘কেদারগঞ্জ গ্রামীণ হাটে’র আধুনিক ভবন। অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে উদ্বোধনের আগেই ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগের শেষ নেই ঐতিহ্যবাহী এ হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
নির্মাণের দুই বছরের মাথায় ভবনের দেয়াল ও ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। ভাঙা জানালার কাঁচ। ভিতরে স্যাঁতসেঁতে ও দুর্গন্ধময় পরিবেশ ভবনটি সাধারণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আধুনিক ভবন থাকার পরও ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বাইরে বসে বেচাকেনা করছেন। এলজিইডির মুজিবনগর উপজেলার প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, ‘দুই বছর আগে ভবনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এলজিইডির আর কোনো দায় নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এখনো মঞ্জুর হয়নি।’ হাটের মাংস বিক্রেতা মইনুদ্দিন বলেন, এত টাকা খরচ করে ভবন করল, এখন পড়ে আছে। আমরা রোদ-বৃষ্টিতে বাইরে বসে থাকি। ভবনটা ঠিক থাকলে অন্তত কিছুটা স্বস্তি পেতাম। প্রবীণ সেতার আলী বলেন, দেখেছি কী সুন্দর ভবন বানানো হয়েছিল। এখন দেয়াল ভেঙে পড়ছে, ব্যবহার হচ্ছে না। কোটি টাকার ভবন কেউ দেখেও না, খোঁজও নেয় না। বাজারের ব্যবসায়ী নিয়ারুল ইসলাম জানান, প্রতিটি হাটের আগে আমরা বলি ভবনটা যেন ঠিক করা হয়।
কেউ কানে নেয় না। এখন সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক শেখ শফি বলেন, ‘অবিলম্বে হাট ভবনের সংস্কার, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং ভবিষ্যতে সরকারি প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণ বাজেট সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানাই।’