বাজারে দাম সহনীয় রাখতে সরকার চাল আমদানিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল। এ ঘোষণার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ মাসে ভারত থেকে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি হয়েছে। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২০০ টন চাল আমদানি হয়। এরপর এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ করেছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ১ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সময় স্বল্পতার কারণে চাল আমদানি করতে পারেনি। প্রথমবার সরকার ঘোষিত আমদানির মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ২২ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে আশানুরূপ চাল আমদানি না হওয়ায় সময় চার দফা বাড়ানো হয়। যার সর্বশেষ মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন্ধ করা হয়। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির জানান, গত বছর ১৭ নভেম্বর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়ে শেষ হয় ১৫ এপ্রিল। এ সময়ে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আমদানি করা ২০০ টন নন-বাসমতী চালবোঝাই ছয়টি ট্রাক বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এ নিয়ে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে।
চাল আমদানিকারক আলাউদ্দিন জানান, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল চাল আমদানির শেষ সময় ছিল। এখনো ওপারে তার এক হাজার টন চাল দেশে প্রবেশের অপেক্ষায়।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আর চাল আমদানি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা।