রায় জালিয়াতি, হত্যা ও দুর্নীতির পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ১০ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। খায়রুল হকের পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এই আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম কামরুল হক সিদ্দিকী ও মোনায়েম নবী শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। পরে দুদক আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে আদালত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জামিন আবেদনগুলোর শুনানি নিয়েছেন। সাধারণত চার সপ্তাহের রুল (জানতে চাওয়া) দেওয়া হয়। কিন্তু তার ক্ষেত্রে (খায়রুল হকের) ১০ দিনের রুল দেওয়া হয়েছে। আদালত, রাষ্ট্রপক্ষ এবং দুদক আমরা তার অসুস্থতা এবং বয়স বিবেচনায় নিয়েছি। রুল জারিতে আমরা কোনো আপত্তি করি নাই।’
দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি প্রধান বিচারপতি থেকে অবসরে যান। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে কয়েক দফা পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছরের ১৩ আগস্ট তিনি কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।