অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘ নিশ্চিত করেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী পশ্চিম তীরে ৪০ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে।
জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, এই সময়ে শুধু জেনিন গভর্নরেটেই ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সহিংসতার শিকার হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রও। জাতিসংঘ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুল-সম্পর্কিত ৯০টিরও বেশি ঘটনার নথিভুক্ত করেছে। যার ফলে ১২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে। এই ঘটনাগুলির মধ্যে স্কুলগুলির কাছে সামরিক অভিযান এবং বসতি স্থাপনকারীদের হামলা উল্লেখযোগ্য। যার কারণে ক্লাস সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হয়েছে।
চলতি জলপাই তোলার মৌসুমেও পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে বসতি স্থাপনকারীরা কমপক্ষে ৮৬টি হামলা চালিয়েছে পশ্চিম তীরের ৫০টি ফিলিস্তিনি গ্রামে। ইসরায়েলি বাহিনীর সুরক্ষায় এই হামলাগুলি প্রায়শই সংঘটিত হয়, যেখানে তারা কৃষকদের উপর আক্রমণ করে, ফসল নষ্ট করে এবং কৃষিজমিতে প্রবেশে বাধা দেয়।
একদিকে যেমন বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতা বাড়ছে, অন্যদিকে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে পশ্চিম তীরের বড় অংশের ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের জন্য একটি প্রাথমিক বিল পাস হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে পশ্চিম তীরে দমন-পীড়ন আরও বেড়েছে এবং বসতি স্থাপনকারীদের ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের ওপর হামলার জন্য এক প্রকার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, শুধু অক্টোবর মাসের ৭ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর ৭১টি হামলা চালিয়েছে, যার অর্ধেকই ছিল ফসল তোলার সময় কৃষকদের লক্ষ্য করে।
সূত্র: আল মায়াদিন
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল