দেশের তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়ন করে থাকেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। গত জুন মাস থেকে ছয় দফা দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন তারা। ১ অক্টোবর থেকে শুরু করেন ‘পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন’ কর্মসূচি। ফলে স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলনে অনেকটা বন্ধই হয়ে আছে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা। ১২ অক্টোরর থেকে সরকার ৯ মাস বয়স থেকে ১৫ বছর বা নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার কথা।
জানা যায়, গত জুন থেকে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এরই মধ্যে সরকার দেশে প্রথম টাইফয়েড টিকা প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করে। কিন্তু স্বাস্থ্য সহকারীরা এ কাজে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পরে দাবি আদায়ের আশ্বাসে তারা কাজে ফেরেন। তবে দাবি আদায় না হওয়ায় গত ১ অক্টোবর থেকে তারা এক্সপেন্ডেড প্রোগ্রাম অন ইমোনিজেশন (ইপিআই) ও টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) রিপোর্ট তৈরি ও প্রদান বন্ধ করে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করে। গতকালও তারা প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন। দেশে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক- তিন পদে মিলে প্রায় ২৬ হাজার কর্মরত আছেন।
তাদের দাবিগুলো হলো- নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক (বিজ্ঞান) যোগ্যতা নির্ধারণ করা, ১৪তম গ্রেডে নিয়োগ ও ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ শেষে ১১তম গ্রেড প্রদান করা, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য সহকারীর পদকে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান করা।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. ফজলুল হক চৌধুরী বলেন, জুন মাস থেকে ছয়টি দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছে। অজানা কারণে তা পূরণ হয়নি।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক খুদরত-ই খোদা বলেন, তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবার সামগ্রিক কাজই আমরা করে থাকি। কিন্তু আমরা অবহেলিত।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মসূচির বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে আলোচনা চলছে। আশা করি সমাধান হবে। অন্যথায় বিকল্প মাধ্যমে হলেও টাইফয়েড কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করা হবে।