বরিশাল নগরীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া সবচেয়ে বড় খাল হলো জেল খাল। একদিকে চলছে গুরুত্বপূর্ণ এ খালটির খনন, অন্যদিকে দুই তীরের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা হরদমে ফেলছেন ময়লা-আবর্জনা। এতে অল্প সময়ের মধ্যে খালটি ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে সাইনবোর্ড টানানোসহ শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল। জানা যায়, খালটি কীর্তনখোলা নদী থেকে কুদঘাটা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। খালের পোর্ট রোড পাইকারি মৎস্য বাজার, কলাপট্টি, পিঁয়াজপট্রি, ফড়িয়াপট্রি, বড় বাজার, কেন্দ্রীয় কারাগার, নাজিরপোল, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন অংশ দিয়ে ফেলা হচ্ছে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা। পোর্ট রোড বাজারের শ্রমিক হোসেন সরদার বলেন, ‘খাল খনন করায় এখন পানি আসা শুরু করেছে। ময়লা ফেলা বন্ধ না হলে খালটি আবারো ভরাট হয়ে যাবে।’
মহিউদ্দিন নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘বর্তমানে পোর্ট বাজার এলাকায় খনন কাজ চলছে। খাল খননের সময় গরুর হাড়, বস্তা, পলিথিনের ব্যাগ বেশি পাওয়া গেছে।’
বরিশাল পরিবেশ আন্দোলনের বিভাগীয় সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, ‘প্রথমে আমাদের সচেতন হতে হবে। সচেতন না হলে দণ্ডবিধির ২৯১ ধারায় জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে বন্ধ করা যাবে না।’