মনসুন রেভ্যুলেশনের স্পিরিটকে উপজীব্য করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক ‘৪০৪ : নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি’। গতকাল ছুটির দিনের সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই নাটকের প্রদর্শনী।
নাটকটি পরিবেশন করে ফোর্থ ওয়াল থিয়েটার। প্রযোজনাটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মো. লাহল মিয়া।
ডিস্টোপিয়ান শৈলীতে নির্মিত নাটকটি একটি স্বৈরশাসিত রাষ্ট্রে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় প্রপাগান্ডা, দমন-পীড়ন এবং নাগরিক প্রতিরোধের এক কাব্যিক ভাষ্য। যেখানে স্বাধীনতা হয়ে ওঠে পণ্য, কবিতা হয় রাষ্ট্রদ্রোহ, আর শিশুদের রং হয় বিপ্লবের প্রতীক।
নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এক শিক্ষক, এক শিশু এবং এক মায়ের আর্তনাদ। যেখান থেকে জন্ম নেয় নতুন সম্ভাবনার আলো।
‘৪০৪ : নাম খুঁজে পাওয়া যায় নি’ নিছক একটি নাটক নয়, এটি রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের এক মঞ্চভাষ্য।
নাটকটি প্রসঙ্গে নির্দেশক মো. লাহল মিয়া বলেন, ‘৪০৪ : নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি’ কেবল প্রযুক্তিগত বার্তা নয়, বরং একটি রাষ্ট্রিক বাস্তবতা ও মানবিক ট্র্যাজেডি। নাটকটিতে সময়ের ভাষা খুঁজে পেতে চেষ্টা করা হয়েছে। যেখানে ব্যঙ্গ, থ্রিল, শোক পাশাপাশি দাঁড়ায়। ভাষার পাশাপাশি চতুর্থ প্রাচীর ভাঙা হয়েছে, যেন দর্শক নিজেই নাটকের শরিক হয়ে ওঠে।
‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ এই বার্তার মধ্য দিয়ে সমকালীন বিশৃঙ্খলা ও ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী বিনির্মাণ হলো এই নাটকটি।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবদুল মুনিম তরফদার, এঞ্জেলিনা পিয়ানা রোজারিও, এ. এইচ. এম. সাহেদুল আলম, ফারিহা তাসনীম হৃদি, হাদী আকাশ, শেখ সায়েম হোসেন, রাইসুল ইসলাম রোমান, তাসনোভা সানজিদা, ইসরাত মীম, মো. মাহাবুব আলম হৃদয়, জান্নাতুল ফেরদৌস তোয়া প্রমুখ।
অন্যদিকে একই সময়ে জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকের দল বাতিঘর প্রযোজিত নাটক ‘মাংকি ট্রায়াল’।