জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আহত আরও সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৮৮ ফ্লাইটে তারা যাত্রা করেন। তারা থাইল্যান্ডের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন। আহত সাতজনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একজন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) একজন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স থেকে তিনজন এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে দুজন রয়েছেন। বিএমইউতে চিকিৎসা নেওয়া আবদুল জব্বারের মূত্রথলির পাশে এখনো বুলেট রয়েছে। সিএমএইচের আশরাফুলের পুরো শরীর এবং নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের তরুণের বাঁ পা প্যারালাইজড হয়ে গেছে। বাকিরা সবাই স্নায়ুতে আঘাতের কারণে স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারিয়েছেন।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় তাদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম ও বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা। এ নিয়ে মোট ৪৭ জন আহত জুলাই যোদ্ধাকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। সবশেষ খোকন চন্দ্র বর্মন তার মুখের রিকনস্ট্রাকশন সার্জারির প্রথম ধাপ শেষ করে গত ৭ মে রাশিয়া থেকে দেশে ফিরে এসেছেন।