বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। বেদখলে থাকা প্রায় ১০ একর জায়গা উদ্ধার করে উন্মুক্ত করা হচ্ছে দর্শনার্থীদের জন্য। দর্শনার্থীদের প্রবেশের সুবিধার্থে নতুন করে টিকেট কাউন্টার, প্রবেশ ও বাহির গেইট, স্যুভেনির শপ ও জু-মিউজিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে জোরেশোরে। পাশাপাশি নতুন করে সার্ভিস রোড ও ক্যাফেটেরিয়া তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। সংশ্লিষ্টরা জানান, চিড়িয়াখানার নতুন জায়গা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হলে চিড়িয়াখানাটি একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর চিড়িয়াখানার উদ্ধার করা প্রায় ১০ একর জায়গা ভূমিদস্যুরা সীমানা প্রাচীর ভেঙে দখল করে এবং চিড়িয়াখানার উন্নয়নমূলক কাজের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ওই স্থানে চিড়িয়াখানার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবেশ করতে পারেনি। জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম উদ্যোগ নিয়ে ওই জায়গাটি পুনরায় দখলমুক্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত সীমানা প্রাচীর মেরামত করেছেন। উদ্ধার করা ওই ভূমিতে এখন চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এই রাস্তা ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানার ভিতরে আরো আনন্দঘন সময় কাটাতে পারবে। আগামী সপ্তাহের দিকে এ সড়ক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়াও চিড়িয়াখানার আয়তন প্রায় দ্বিগুণ হবে। এতে করে নতুন নতুন প্রাণীর খাঁচা সংযোজন করার পরিকল্পনা করছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের বর্তমানে প্রবেশ ও বাহির একই গেইট দিয়ে করতে হয়। জেলা প্রশাসক দর্শনার্থীদের সুবিধার্তে নতুন করে টিকেট কাউন্টার, প্রবেশ ও বাহির গেইট করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়াও চিড়িয়াখানার ভিতরে স্যুভেনির শপ, ক্যাফেটেরিয়া ও জু-মিউজিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা আরও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন জেলা প্রশাসক। তারই ধারাবাহিকতায় নির্মিত হয়েছে সার্ভিস রোড ও জু ক্যাফেটেরিয়া। এছাড়া আকর্ষনীয় এন্ট্রি ও এক্সিট গেইট, টিকেট কাউন্টার, স্যুভেনির শপ, জু মিউজিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে। চলমান কাজসমূহ কিছু দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নতুন জায়গা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হলে চিড়িয়াখানাটি একটি আধুনিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ৮ একরের অধিক প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের জমি যা বেদখল হয়েছিল, তা উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার করা জমিতে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হলে তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এতে চিড়িয়াখানার আয়তন বৃদ্ধি হওয়াসহ নতুন নতুন প্রাণী সংযোজন করা সম্ভব হবে। প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় পরিদর্শন করে এবং পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে সময় কাটান।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল