চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানা এলাকা থেকে তৃতীয় দফায় আরও প্রায় ১৩ হাজার সন্দেহজনক ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউনিফর্মগুলো উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসব পোশাক পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ-এর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সিএমপি উপ কমিশনার (জনসংযোগ) মাহমুদা বেগম বলেন, অনেকেই আমার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। বায়েজিদ বোস্তামি থানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে আপাতত কিছু বলতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মে একই এলাকার একটি পোশাক কারখানা ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ থেকে ২০ হাজার ৩০০টি ইউনিফর্ম জব্দ করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। ওই ঘটনায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রায় দুই কোটি টাকার চুক্তিতে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ-এর জন্য এসব ইউনিফর্ম তৈরি হচ্ছিল। সে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম এবং গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার নামের অপর তিনজনকে। তারা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার মংহলাসিন মারমার কাছ থেকে পোশাক তৈরির অর্ডার এনেছিলেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
সেই মামলাটি দায়ের করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে। বাদী ছিলেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন। তাছাড়া, গত ২৬ মে দিবাগত রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়াহাট এলাকার একটি গুদাম থেকে দ্বিতীয় দফায় ১১ হাজার ৭৮৫টি ইউনিফর্ম জব্দ করে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম