চট্টগ্রাম নগরের চারটি স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে নগরের সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে ‘কৈশোর তারুণ্যে বই ট্রাস্ট’ এর নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চট্টগ্রামের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কক্ষের পাশে ব্যতিক্রমী বইমেলার আয়োজন করেছে। কৈশোরে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার সামাজিক আন্দোলন হিসেবে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আজ শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। এরপর ২০ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরে পর্যায়ক্রমে মেলা আয়োজন করা হবে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
বইমেলায় অংশ নিচ্ছে দেশের খ্যাতিমান প্রকাশনী অনন্যা, অনুপম, অ্যাডর্ণ, ইকরিমিকরি, কাকলী, জাগৃতি ও সময়।
শ্রেণি কক্ষের পাশে আয়োজিত এই মেলায় শিক্ষার্থীদের সরাসরি বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে বই সাজানো হয়েছে সহজলভ্যভাবে। বইয়ের রঙিন পাতায় ডুবে গিয়ে গল্প পড়ে, বই হাতে নিয়ে দেখে এবং পছন্দের বই কিনে নিচ্ছে শিশুরা। তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
ট্রাস্টের সভাপতি তুষার আবদুল্লাহ বলেন, চট্টগ্রামের এই স্কুলের মেলাটি আমাদের ১০৯তম বইমেলা। আমরা আমাদের বাচ্চাদের, সন্তানদের, শিক্ষার্থীদের বলতে চাই- তারা এখন শুধু পাঠ্যবই, অর্থাৎ সিলেবাসভুক্ত বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেখানে তারা যে আনন্দটা পাচ্ছে না, সেটা পাবে এই বইমেলা থেকে।
তিনি বলেন, সিলেবাসের বাইরের বই পড়লে পাঠ্যবইয়ের জন্য যে জ্ঞানটা দরকার, সেটাও সেখান থেকেই পাওয়া যায়। আমরা শুধু পাঠ্যবই বা পাঠের কথা বলছি না, বলছি প্রতিদিনের জীবনের কথা। তুমি যে শহরে থাকো, যে এলাকায় থাকো—সেই এলাকার গাছ, প্রকৃতি, পরিবেশ সবকিছুর কথা বলছি। বই পাঠ আর প্রকৃতি পাঠ এই দুইয়ের সমন্বয় হলে জীবন সুন্দর হয়।
তুষার আবদুল্লাহ বলেন, ''বইয়েরও প্রাণ আছে। তুমি যদি চার-পাঁচটা বইয়ের পাশে বসে থাকো, একদিন বই তোমাকে বলবেই-‘আমাকে পাঠ করো’।''
মেলায় শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলেছেন, শ্রেণিকক্ষের পাশে এমন বইমেলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বাড়াবে এবং পাঠাভ্যাস তৈরিতে সহায়ক হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে ‘কৈশোর তারুণ্যে বই ট্রাস্ট’ দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ১০৮টি বইমেলা, বই বিষয়ক সেমিনার, পাঠক-লেখক সংলাপ এবং পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে সচেতনতামূলক আয়োজন করেছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে বইয়ের সঙ্গে তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের গভীর বন্ধন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ